পরিচয়ঃ
কাউনিয়া রংপুর জেলার আটটি উপজেলার একটি উপজেলা । দেশের আর্থ সামাজিক উন্নয়নে ক্ষুদ্র এ জনপদ বহুকাল আগে থেকেই বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে । ইতিহাস-ঐতিহ্য, সাহিত্য-সংস্কৃতি, উৎপাদন-উন্নয়ন ইত্যাকার বিষয়াবলী আধুনিক উন্নয়নের ধারায় নিবিড়ভাবে সম্পর্কযুক্ত । এর অতীত যেমন ঐতিহ্যমন্ডিত তেমনি বর্তমানেও নানা কারণে সমৃদ্ধ । কোন স্থানের অতিত ও বর্তমান সম্পর্কে জানতে হলে সে স্থানের ভৌগোলিক ও প্রাকৃতিক বিবরণাদির পরিচয় জানা দরকার আগে ।
অবস্থান, আয়তন ও লোকসংখ্যাঃ
কাউনিয়া উপজেলা রংপুর জেলা সদর থেকে ২২কিঃমিঃ পূর্বদিকে অবস্থিত। এ উপজেলা ২৫.৪২০ হতে ২৫.৫০০ উত্তর অক্ষাংশে এবং ৮৯.১৮০ হতে ৮৯.১৫০ পূর্বদ্রাঘিমাংশে অবস্থিত।এই উপজেলার আয়তন ১৪৭.৬০ বর্গকিলোমিটার ।
এই উপজেলার ইউনিয়নের সংখ্যা ৬টি ও পৌরসভা ১টি । ২০১১ সালের আদম শুমারী রিপোর্ট অনুযায়ী উপজেলার ৮০ টি মৌজার মোট জনসংখ্যা ২,৪৩,৪০৫ জন । তন্মধ্যে- পুরুষ ১,১২,৭০১ ও মহিলা ১,১৫,১০৪ জন । এখানকার বাসিন্দাদের মুসলমান ২,১২,০৮১জন হিন্দু ১৫,৬০৫ খ্রিষ্টান ৪২ জন অন্যান্য৭৭ জন ।
সীমানাঃ
তিস্তার উত্তর পাড়ে যথাক্রমে কাকিনা, কাল মাটি, সাপটিবাড়ী, লালমনিরহাট, তিস্তা ও বড়বাড়ী এলাকাগুলি অবস্থিত । হারাগাছ তিস্তা নদীর দক্ষিণ পাড়ে অবস্থিত একটি এলাকা , যার দক্ষিনে পীরগাছা উপজেলা, পূবে লালমনিরহট ও রাজারহাট এলাকা এবং পশ্চিমে রংপুর সদর উপজেলা ও গঙ্গাচড়া উপজেলা । বর্ণিত এলাকার চর্তুসীমানার মাঝের ভূ-খন্ড কাউনিয়া উপজেলা, যা পূর্বে কাউনিয়া থানা হিসেবে পরিচিতি ছিল ।
ভূ-প্রকৃতি, নদ-নদী ও পুকুরঃ
কাউনিয়া উপজেলাটি দু রকম ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্জল নিয়ে গঠিত । পুরাতন তিস্তা পলল ভুমি ও নব্য তিস্তা পলল ভূমি । অঞ্জল দুটি যথাক্রমে শতকরা ৭২ ও ২৮ ভাগ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত । এলাকার প্রধান ও একমাএ নদী তিস্তা । এর শাখা নদী মানাস । উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও মৌজায় বিভিন্ন ভাবে শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে দিয়ে এলকাটিকে সরস ও সজীব রেখেছে এ নদী । এখানে ছোট বড় পুকুরের সংখ্যা এক হাজারেরও বেশী বলে জানা য়ায় ।
আবহাওয়াঃ
আগেই বলা হয়েছে এ উপজেলাটি দু রকম ভূ-প্রাকৃতিক অঞ্জল নিয়ে গঠিত । পুরাতন তিস্তা পলল ভুমি ও নব্য তিস্তা পলল ভূমি । অঞ্জল দুটি যথাক্রমে শতকরা ৭২ ও ২৮ ভাগ এলাকা জুড়ে বিস্তৃত । এলাকার প্রধান ও একমাএ নদী তিস্তা । এর শাখা নদী মানাস । উপজেলার সকল ইউনিয়ন ও মৌজায় বিভিন্ন ভাবে শাখা প্রশাখা ছড়িয়ে পড়ায় এখানকার আবহাওয়া নাতিশীতোষ্ঞন এলাকা হিসাবে পরিগণিত । তা সত্ত্বেও এলাকার জনগনের কাছে এখানে গরমের কালে প্রচন্ড গরম এবং শীতকালে প্রচন্ড শীত অনুভূত হয় । যদি এখান কার তাপমাএা নিচে শূন্য ডিগ্রী থেকে উপরে ৪০-৪৫ ডিগ্রী পর্যন্ত পৌছায় না কখন ও ।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস